"যে দধিচীদের হাড় দিয়ে ওই বাষ্পশকট চলে" তাঁদেরকেই আমরা চুবিয়েছি ফিনাইলগোলা জলে আর জীবন ঘেমে উঠেছে ভাইরাসে। আসলে এ ভাইরাস আমাদের মনের, শরীরের, ডানায় ডানায় মোড়া পরিযায়ী অসুখের। উঠোন আর মেরুদন্ড বেঁচে দিয়ে আমরা বেছে নিয়েছি পায়রার খুপরি আর শহর ভরে গেছে প্রকোষ্ঠে। মধু ভরা মৌচাক এর সুখ-স্বপ্নে আমরা এভাবেই হারিয়েছি এক এক করে ঠিকানা, বাসস্থান, শিকড়, সম্পর্ক, মেরুদন্ড। ভালোবাসতে ভুলে গেছি। মত্ত হয়েছি ধর্মীয় আফিমে। তুমুল সাগর মন্থন করতে গিয়ে এভাবেই উঠে আসছে পরপর তীব্র গরল-পাত্র। কলম্বাস হারিয়েছে দ্বীপ। সেনাপতিগণ এখএ বছর তাই কোনো উৎসব নেই। বরং তার বদলে শুরু হতে চলেছে উৎ(সাহিত) - শব( যাত্রা )। লিমিগ নামে এক প্রজাতির প্রাণী যারা দল বেঁধে আত্মহত্যা করে তাদের মতো ক্রমশঃ এগিয়ে চলেছি আমরা নিরন্তর ধএবারের সংখ্যায় আমরা বেছে নিয়েছি মোট ৯৪ জন লেখককে। যাদের মধ্যে অনেকেই এবার প্রথম লিখছেন "দক্ষিণের জানালা"য়। কেউ কেউ আবার এবারই প্রথম আত্মপ্রকাশ করছেন এই পত্রিকার হাত ধরে। এই সময়ের পরিচিত ও স্বনামধন্য কলমচিরাও অনেকেই আলো করে আছেন পত্রিকাজুড়ে। এই নিয়ে দুটো সংখ্যা আমরা পিডিএফ আকারে প্রকাশ করলাম। প্রাক-পূজা সংখ্যা থেকে আমরা যে উৎসাহ পেয়েছি পাঠকদের থেকে, তা সহায়ক হয়েছে আরো নতুন ভাবে নিজেদের মেলে ধরায়। ভিন্ন ঘরানার লেখার পাশাপাশি থাকছে ফটোগ্রাফি ও চিত্রশিল্পের এক অনন্য সম্ভার। হাজারো লেখার মাঝে মাঝে কিছু ক্রিয়েটিভ ব্রেক। কখনো কখনো এটুকু বিরতি ভালো : মন ও মননের ক্ষেত্রে। আজ আপাতত এটুকুই। বাকিটার জন্য দক্ষিণের জানালাটা আপনার অপেক্ষায়। স্বাগতম। জয়তু।